নিজস্ব প্রতিবেদক: শরৎ শেষে আসছে হেমন্ত। ঋতুর পালাবদলে এরপরই আসবে শীত। তবে ইতিমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা নীলফামারী ও পঞ্চগড়ে আগমনী বার্তা দিচ্ছে শীত। ক্রমেই তাপমাত্রা কমছে এ দুটি জেলায়।
মাঝরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক, ভোরবেলায় কেটে যাচ্ছে সেই কুয়াশা। আর এ সময়ে মানুষজন শীত নিবারণের জন্য হালকা কাঁথা, কম্বল গায়ে জড়িয়ে নিচ্ছে।
এদিকে ঋতুর এমন পরিবর্তনের কারণে ভ্যাপসা গরম থেকে রক্ষা পাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে দেশের উত্তরের এই জনপদের বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা বলছেন, শীতের জন্য তাদের গরম কাপড় পরে বের হতে হচ্ছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে দেখা যায়, কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে এখানকার সড়ক, পথঘাট। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলছে যানবাহন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, ভোর রাতের দিকে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে। যে কারণে এটাকে শীতের আগাম পূর্বাভাস বলা চলে। পরবর্তী সময়ে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান। গত কয়েক দিনে ধরেই এ উপজেলায় তাপমাত্রা ২১ থেকে ২৫ ডিগ্রির ঘরে উঠানামা করছে।
চলতি অক্টোবরের শেষের দিকে শীত নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।